সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় Logo কপ ৩০: জলবায়ু সংকট নিয়ে সম্মেলন করে ৩০ বছর পার, এখন সমাধানের সময়   Logo জাতীয় নির্বাচনের দিনই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা Logo শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় ১৭ নভেম্বর Logo জলবায়ু সংকটই এখন স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও প্রধান    Logo আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সাভারে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড বাস্তবায়নে অভিযান: চিমনি ভেঙে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ১৮ লাখ টাকা জরিমানা Logo প্রকৃতি ও জীবনের এবারের পর্ব- ‘রক্ষিত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা’    Logo জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নায়ক গোবিন্দ Logo বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশে চালু হলো ই-টিকেটিং

সাকিব আল হাসানের মুভি নিয়ে মুখ খুললেন মেঘলা

সাকিব আল হাসানের মুভি নিয়ে মুখ খুললেন মেঘলা

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, যিনি খেলা ছাড়াও অভিনয় জগতেও পদার্পণ করেছিলেন। ১২ বছর আগে কক্সবাজারে শুটিং হওয়া ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ শিরোনামের সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাকিব। তবে সেই শুটিংয়ের মাঝপথে সাকিব তার অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেন এবং একপর্যায়ে সিনেমার কাজও থেমে যায়।

সাকিবের আচরণের বিষয়ে নির্মাতা রাজিবুল হোসেন কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন যে, সাকিব শুটিংয়ের মাঝপথে জানিয়ে দেন যে তিনি আর সিনেমায় কাজ করবেন না। এরপর শুটিং বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো প্রজেক্ট অন্ধকারে চলে যায়।

সেই ঘটনার ১২ বছর পর প্রথমবারের মতো সাকিবের শুটিং বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতী মেঘলা মুক্তা।

মেঘলা মুক্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমি বুঝলাম না এতোদিন পরে কেন এই প্রসঙ্গে কথা উঠলো, তখন তো কথা ওঠেনি। আর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরিচালকের বিজ্ঞাপনের চুক্তি নাকি সিনেমার চুক্তি হয়েছিল তা আমার জানা নেই। তবে সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে শুটিং করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা তো জানি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। এই চলচ্চিত্রের জন্য সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। আমরা কক্সবাজারে একটা গানের শুটিংও করেছি। পরে কী কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে গেল আমরা জানি না।

নির্মাতা রাজিবুল হোসেন এই ছবি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন, ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো প্রজেক্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। শুধু সাকিবের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তাঁর অসম্মান। আমি চাইলে তাঁকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না।

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কপ ৩০: তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে ঘোষণা, বিতর্ক, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়

সাকিব আল হাসানের মুভি নিয়ে মুখ খুললেন মেঘলা

আপডেট সময় ০৬:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, যিনি খেলা ছাড়াও অভিনয় জগতেও পদার্পণ করেছিলেন। ১২ বছর আগে কক্সবাজারে শুটিং হওয়া ‘সবকিছু পেছনে ফেলে’ শিরোনামের সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাকিব। তবে সেই শুটিংয়ের মাঝপথে সাকিব তার অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেন এবং একপর্যায়ে সিনেমার কাজও থেমে যায়।

সাকিবের আচরণের বিষয়ে নির্মাতা রাজিবুল হোসেন কিছু দিন আগে জানিয়েছিলেন যে, সাকিব শুটিংয়ের মাঝপথে জানিয়ে দেন যে তিনি আর সিনেমায় কাজ করবেন না। এরপর শুটিং বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো প্রজেক্ট অন্ধকারে চলে যায়।

সেই ঘটনার ১২ বছর পর প্রথমবারের মতো সাকিবের শুটিং বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতী মেঘলা মুক্তা।

মেঘলা মুক্তা গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আমি বুঝলাম না এতোদিন পরে কেন এই প্রসঙ্গে কথা উঠলো, তখন তো কথা ওঠেনি। আর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরিচালকের বিজ্ঞাপনের চুক্তি নাকি সিনেমার চুক্তি হয়েছিল তা আমার জানা নেই। তবে সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে শুটিং করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা তো জানি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। এই চলচ্চিত্রের জন্য সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সাকিব আল হাসান আমাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। আমরা কক্সবাজারে একটা গানের শুটিংও করেছি। পরে কী কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে গেল আমরা জানি না।

নির্মাতা রাজিবুল হোসেন এই ছবি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল। সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন, ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো প্রজেক্ট অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। শুধু সাকিবের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তাঁর অসম্মান। আমি চাইলে তাঁকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না।