দ্বীপ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে দাবি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে চালিত করার সুযোগ নেই। তিনি জানিয়েছেন, সেন্ট মার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তরে বিশ্ব মেছো বিড়াল দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যটনের নামে ৮ হাজার বাসিন্দার দ্বীপে আপনি প্রতিদিন ১০ হাজার পর্যটক ঢোকাবেন, আপনি যদি ওই দ্বীপের বাসিন্দা হতেন তাহলে আপনার কেমন লাগতো? আপনি যাদের হয়ে প্রশ্ন করছেন সেই জাহাজ ব্যবসায়ী, হোটেল মালিকরা কি সেন্ট মার্টিনের মানুষ? আমরা স্থানীয় জনগণকেন্দ্রিক পর্যটন করবো সেন্ট মার্টিনে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাঁচাতে ৯ মাস পর্যটন বন্ধ রাখা হচ্ছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। যেকোনো শিল্পে ব্যবস্থাপনা থাকে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সেরকম ব্যবস্থাপনা আছে? কোরাল ভেঙে ভেঙে নিয়ে আসা হয়।’
বক্তব্য দেয়াকালে পরিবেশ উপদেষ্টা নিজের মোবাইলফোনে এবারের পর্যটন মৌসুমে কয়েকটি জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট করার ছবিও প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কোনো পর্যটক যেতে পারবেন না। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার পর্যন্ত গত দুই মাসে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের আগে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তারা। এরপর ট্রাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন যেতে হয়েছে পর্যটকদের। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা দ্বীপটিতে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসবেন। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এ দুই মাসে দৈনিক দুই হাজার পর্যটকের জন্য সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ ও সেখানে রাত যাপনের সুযোগ রাখা হয়।