‘সাত কলেজের’ সঙ্গে না থেকে সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজের কিছু শিক্ষার্থী।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে কলেজটির মূল ফটকের সামনে “তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন” ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলি হলো-
- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ
- তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা
- অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, অন্যথায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিক খরচ বহন করা
- ২০২৪-২০২৫ সেশন শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্মত ন্যূনতম দু’টি বিষয়, আইন এবং সাংবাদিকতা, সংযোজন
- একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ
- শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আসনসংখ্যা সীমিতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করার জন্য গবেষণাগার নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠনে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবি মানা না হলে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে “শাটডাউন তিতুমীর” কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেন।
তিতুমীর কলেজের ফটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরাতিতুমীর কলেজের ফটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা
তারও আগে গত ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পরদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে “ক্লোজডাউন তিতুমীর” কর্মসূচি দেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ওই কমিটি “যথাযথভাবে” কাজ করছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।