সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য Logo লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের গুঞ্জন! কেমন যেতে পারে মাসের শেষ দিনগুলো, যা বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস Logo প্রশাসনিক সমন্বয় ও সংস্কার ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয় : পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল Logo প্রকৃতির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলার বার্তা নিয়ে এবছরের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস Logo জাতীয় নির্বাচন, ‘মানবিক করিডোর’, মব সহিংসতা নিয়ে যা বললেন সেনাপ্রধান Logo রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা নেই Logo প্রাক বর্ষায় রাজধানীসহ নানাস্থানে মাঝারি-ভারী বৃষ্টি Logo শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে : রিজওয়ানা হাসান Logo শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ

স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যের হাওড়ার সাঁকরাইলে মেয়ের পড়াশুনা এবং বিয়ের খরচের জন্য স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে উৎসাহিত করেন তার স্ত্রী। পরে স্বামীর কিডনি বিক্রির সেই টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বছর উনচল্লিশের পিন্টু বেজ নামের এক ভুক্তভোগী যুবক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

জানা গেছে, ১৬ বছর আগে প্রেম করে সুপর্ণ বেজকে বিয়ে করেন পিন্টু বেজ। তাদের ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে পিন্টু-সুপর্ণের সংসারে চরম অনটন চলছিল। তাই স্ত্রীর অনুরোধে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন পিন্টু। প্রায় এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তিনি। পিন্টু ১০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা) বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্যতা কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তার স্ত্রী সুপর্ণের মনে অন্য কিছু চলছে!

স্বামীর কিডনি বিক্রির পর ফেসবুকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে ১০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়ে যান ওই স্ত্রী। এ ঘটনার পর হতভাগ্য স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রী ও তার প্রেমিকের সন্ধানও পান। পরে পরিবারের সদস্য, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি।

তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। বরং স্ত্রী উল্টো স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যা পারো, করো!’ এই ঘটনায় হতভাগ্য স্বামী এখন আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই ওই নারী অর্থাৎ পিন্টুর স্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তার প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করায়নি।

সূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও টিভিনাইন।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রকৃতির প্রতিশোধ: সংকটে জীববৈচিত্র্য

স্বামীর কিডনি বিক্রির টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

আপডেট সময় ০২:০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। রাজ্যের হাওড়ার সাঁকরাইলে মেয়ের পড়াশুনা এবং বিয়ের খরচের জন্য স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে উৎসাহিত করেন তার স্ত্রী। পরে স্বামীর কিডনি বিক্রির সেই টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় বছর উনচল্লিশের পিন্টু বেজ নামের এক ভুক্তভোগী যুবক তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

জানা গেছে, ১৬ বছর আগে প্রেম করে সুপর্ণ বেজকে বিয়ে করেন পিন্টু বেজ। তাদের ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে পিন্টু-সুপর্ণের সংসারে চরম অনটন চলছিল। তাই স্ত্রীর অনুরোধে কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন পিন্টু। প্রায় এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তিনি। পিন্টু ১০ লাখ রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সোয়া ১৪ লাখ টাকা) বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন। তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্যতা কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তার স্ত্রী সুপর্ণের মনে অন্য কিছু চলছে!

স্বামীর কিডনি বিক্রির পর ফেসবুকে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এক ব্যক্তির সঙ্গে ১০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়ে যান ওই স্ত্রী। এ ঘটনার পর হতভাগ্য স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রী ও তার প্রেমিকের সন্ধানও পান। পরে পরিবারের সদস্য, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি।

তবে এতে কোনো কাজ হয়নি। বরং স্ত্রী উল্টো স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যা পারো, করো!’ এই ঘটনায় হতভাগ্য স্বামী এখন আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মামলায় পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই ওই নারী অর্থাৎ পিন্টুর স্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তার প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করায়নি।

সূত্র : দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও টিভিনাইন।