সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে? Logo মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে, ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন Logo ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ Logo বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যেতে চান ঋতুপর্ণা Logo যে কারণে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন না সালমান খান Logo যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২, নিখোঁজ ৪১ Logo ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০বছর মেয়াদি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে Logo সন্তান আছে প্রমাণ করতে পারলে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তানজিন তিশা Logo এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা Logo সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের আশঙ্কা
শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টা

‘হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে’

'হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে'

“হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে। এজন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে”—বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে: সোমবার (২৬ মে) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, “মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে।”

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, “হাতির জীবনও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকবো না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।”

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: ছানাউল্লাহ পাটওয়ারী, বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল তানভির হোসেন মজুমদার, ইআরটির সদস্য ইমতিয়াজ আলী ও মোহাম্মদ হাসমত আলী।

 

অনুষ্ঠানে হাতির আক্রমণে নিহত দুই পরিবারকে মোট ৬ লক্ষ টাকা ও ফসল-ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ পরিবারকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা প্রদান করেন উপদেষ্টা। এছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এর আগে উপদেষ্টা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র এবং মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে মৃত ৪৫ জনের পরিবারকে মোট ৯১ লক্ষ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৬ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।”

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানের রাস্তায় নারী-শিশুর ওপর সিংহের আক্রমণ, কিন্তু কিভাবে?

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টা

‘হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে’

আপডেট সময় ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

“হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে। এজন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে”—বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে: সোমবার (২৬ মে) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, “মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে।”

 

উপদেষ্টা আরও বলেন, “হাতির জীবনও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকবো না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।”

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, কেন্দ্রীয় বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: ছানাউল্লাহ পাটওয়ারী, বিজিবি কমান্ডার লে. কর্নেল তানভির হোসেন মজুমদার, ইআরটির সদস্য ইমতিয়াজ আলী ও মোহাম্মদ হাসমত আলী।

 

অনুষ্ঠানে হাতির আক্রমণে নিহত দুই পরিবারকে মোট ৬ লক্ষ টাকা ও ফসল-ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ পরিবারকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা প্রদান করেন উপদেষ্টা। এছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এর আগে উপদেষ্টা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র এবং মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে মৃত ৪৫ জনের পরিবারকে মোট ৯১ লক্ষ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৬ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।”