সার্কাসে ১২ বছরের বন্দিদশা থেকে অবশেষে উদ্ধার পেল এক এশিয়ান কালো ভালুক, একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে দু’টি বানর। বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন আইনে এসব প্রাণী উদ্ধার করে গাজীপুর সাফারি পার্কে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার জাঙ্গালিয়া এলাকার ‘কুমিল্লা কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা’ থেকে এসব প্রাণী উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা লিজার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলায় সার্কাস প্রদর্শনের জন্য আনা ভালুক ও বানর খাচায় বন্দি করে রাখা হয়। এ ধরনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে।
পরে শনিবার ঢাকা থেকে ইউনিটের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে একটি ভালুক ও দুইটি বানর জব্দ করে। এগুলো গাড়িতে করে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। অভিযানে কুমিল্লা বন বিভাগ ও র্যাপিড রেসপন্স বিডি ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা সহযোগিতা করে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের (ডব্লিউসিসিইউ) পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা লিজা জানান, খবর পেয়ে শনিবার ওই মেলায় অভিযান চালিয়ে বানর ও ভালুক উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন আইনে এসব প্রাণী উদ্ধার করে গাজীপুর সাফারি পার্কে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাণীগুলো উদ্ধারের পর ডব্লিউসিসিইউ-এর ফেসবুকে পেইজে দেয়া এক পোস্টে পরিদর্শক লিজা জানান, ১২ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হলো আরও একটি ভালুক।
প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের তালিকায় এশিয়ান কালো ভালুক মহাবিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, কালো রঙের এই ভালুকটিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আলীকদম এলাকা থেকে খুব ছোট বয়সে সংগ্রহ করে সার্কাস কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক যুগ ধরে ভালুকটি বন্দি করে সার্কাসের খেলা দেখানো হচ্ছিল।