১৬৫২ জন দুঃস্থ ক্রীড়াবিদকে ভাতা দিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ রবিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ভাতা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক ক্রীড়াবিদ রয়েছেন যাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আর কোনো আয়ের উৎস থাকে না। আমাদের দেশের স্পোর্টস ইকোসিস্টেম না থাকার কারণে সাবেক খেলোয়ারদের এমপ্লয়মেন্টের খুব অল্প সুযোগ থাকে। আমরা এ সকল বিষয়গুলোকে এড্রেস করছি এবং এগুলো উত্তরণে মন্ত্রণালয় কাজ করছে, তবে সম্পূর্ণ ফলাফল আসতে কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে। এই সময়ের মধ্যে যে অসমর্থ ক্রীড়াবিদ রয়েছেন যারা দেশকে সার্ভ করেছেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তাদের সহযোগিতার জন্য এই ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন কাজ করছে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কর্ম-পরিধি বৃদ্ধির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে ক্রীড়াসেবীদের মাঝে মাসে ২০০০ টাকা করে বাৎসরিক ২৪ হাজার টাকার পরিবর্তে মাসে ৩০০০ টাকা করে বছরে ৩৬ টাকা প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে এই টাকার পরিমাণটা আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সারাদেশে তারুণ্যের উৎসব একটি সফল কর্মসূচি হিসেবে পালিত হয়েছে। প্রায় ৪৬ হাজার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে প্রায় দেড় কোটি তরুণ অংশগ্রহণ করেছেন। যখন একটি সমাজে খেলাধুলার প্রাধান্য থাকে তখন যুব সমাজ মাদকসহ নানান ধরনের ইভিল প্রেক্টিস হতে দূরে থাকে। সেই দিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারুণ্যের উৎসব সারা বছরব্যাপী চলমান থাকবে এবং আরও নতুন নতুন অনেক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারুণ্যের উৎসবকে সফল করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় এবং বাফুফের সহযোগিতায় দেশে ৬৪টি জেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। ক্রীড়াক্ষেত্রে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে ক্রীড়া আনুরাগীদের নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রায় ৫১ টি জেলায় ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়েছে বাকিগুলো কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বিইএফটিএন (BEFTN) মাধ্যমে ১৬৫২ জন ক্রীড়াবিদদের স্ব স্ব হিসাব নম্বরে দেওয়া করা হয়।