প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সেই ফর্ম গল থেকে কলম্বোতে টেনে আনতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাসরা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনাররা দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় দল।
প্রথম দিন শেষে ৭১ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান করেছে বাংলাদেশ। ৯ রান নিয়ে উইকেটে আছেন তাইজুল ইসলাম। তার সঙ্গী এবাদত হোসেন। গলে দুই ইনিংসেি ব্যর্থ ছিলেন এনামুল হক বিজয়। তবুও এই ওপেনারকে কলম্বোতে সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে এবারও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারলেন না তিনি।
গলে দুই ইনিংসেি ব্যর্থ ছিলেন এনামুল হক বিজয়। নিজেকে প্রমাণ করার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন গলে ব্যর্থ হওয়া এনামুল হক বিজয়। তবে কলম্বোতেও আলো ছড়াতে পারেননি তিনি। শুরুতেই খালি হাতে সাজঘরে ফিরেছেন এই টাইগার ওপেনার। ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। আভিশকা ফার্নান্দোর বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন।
তিনে নেমে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার উইকেটে থিতুও হয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ৩৯ বলে ২১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাদমান ইসলাম দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটির পথেই ছিলেন। তবে ফিরেছেন ফিফটি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। ৯৩ বলে ৪৬ রান করেছেন এই ওপেনার। সাদমান ফেরার পর দায়িত্ব ছিল শান্তর কাঁধে। কিন্তু অধিনায়ক উল্টো নিজের উইকেট দিয়ে দলের ওপর চাপ বাড়ান। উইকেটের পেছনে ধরা পড়ার আগে ৩১ বলে ৮ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশ যখন ধুঁকছে তখন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লিটন ও মুশফিক। উইকেটে থিতু হওয়ার পর কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। সোনাল ধিনুসার করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টার্ন করে ভেতরে ঢোকার সময় কাট করতে যান লিটন, তাতে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৬ বলে ৩৪ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। আর লিটনের বিদায়ে ভাঙে ৬৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।
ত্রিশের ঘরে আটকেছেন বাংলাদেশের আরো এক ব্যাটার। সাতে নামা মেহেদি মিরাজও ভালো শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪২ বলে করেন ৩১ রান। উইকেটে নাঈম হাসান বেশ সতর্ক ছিলেন। তার ব্যাটিং বেশ ইতিবাচক ছিল। তবে দিনের একেবারে শেষ দিকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। তার আগে ৫১ বলে ২৫ রান করেন তিনি। এরপর দিনের বাকিটা সময় কাটিয়েছেন তাইজুল ও এবাদত।