কয়েকদিনের স্বস্তিকর আবহাওয়া বদলে ক্রমে আসল রূপ দেখাচ্ছে চৈত্র। চৈত্রের প্রখর রোদে ইতোমধ্যে ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে দেশের ৭ অঞ্চলে হানা দিয়েছে তাপপ্রবাহ। এতে সর্বত্রই গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। এই অবস্থায় নতুন করে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের দাপট অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে আগামী রোববার (৩০ মার্চ) একই সময় পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, বর্তমানে রাজশাহী, রাঙামাটি, ফেনী, সীতাকুণ্ড, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী ৩ দিন ক্রমান্বয়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। পাশাপাশি বুধবার (২৬ মার্চ) রাঙামাটি ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অবস্থায় বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঈদের দিন কেমন থাকতে পারে আবহাওয়া?
এবার যদি ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে ৩১ মার্চ। আর রোজা যদি ৩০টিই হয়, তবে ঈদ হবে ১ এপ্রিল।
ঈদ ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল—যেদিনই হোক না কেন, এখন যেভাবে তাপমাত্রা বেড়ে চলছে, তা সেই সময়েও অব্যাহত থাকতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন, ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল তাপমাত্রা এখনকার চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তার মানে অবশ্য এই নয় যে ওই সময় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। ঈদের দিনে তাই একেবারে অসহনীয় গরম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ঈদের দিন (৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল) দেশের দক্ষিণ-পূর্বের চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক স্থানে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজারের কিছু স্থানে এই বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব সামান্য হবে।