বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও একজন অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে, ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের র্বধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় তাঁর ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণে কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, কবিতা শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজ ২৭ আগস্ট, ২০২৪ প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃতুবার্ষিকী। মহান এই কবির ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্রকৃতিবার্তা’ ডট কম এর পক্ষ থেকে রইল বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। বিশেষ এই দিনে আমরা কবির সাহিত্য সম্ভারে প্রকৃতির যে গভীর সংযোগ রয়েছে তার স্বরূপ অনুসন্ধান করবো।
কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীতে বাঙালির অন্যতম কবি। মাত্র ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবন তাঁর। স্কুল জীবন পার না হতেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান হওয়ায় শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি র্ধমনিরপেক্ষতার সত্তা নিয়ে বড় হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তারমধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজদ্রোহিতার অভিযোগে কারাবন্দী করেছিল। একারণে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে অবিভক্ত ভারতের একমাত্র বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।
তিনি কোলকাতার বর্ধমান জেলার চরুলিয়া গ্রামে প্রকৃতির কোলে বেড়ে উঠেছেন। কবি তাঁর সাহিত্য চর্চায় বিরহে যেন এক বিষাদসিন্ধু! একই সাথে বিদ্রোহের রণ রুদ্র রূপে হাজির হয়েছিলেন। এসব বিদ্রোহের অন্তরালে তাঁর কাব্যকলা হৃদয়ে প্রবাহিত ছিল প্রকৃতি প্রেম এবং মানব প্রেমের উপাখ্যান। একইসাথে প্রেয়সী প্রিয়ার রূপে প্রকৃতিকে বেঁধেছেন চুলের খোঁপায়। কত রূপে, কত ভঙ্গিতে প্রকৃতিকে আবিষ্কার করেছেন তিনি। তাঁর হৃদয়-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে মিশেছিল আবহমান বাংলার প্রকৃতি। প্রকৃতির উপাদান দিয়েই তিনি নিজের এবং মানব মনের চিরন্তন রূপ দিয়েছেন। নজরুল ইসলাম মূলত প্রেম ও প্রকৃতির কবি, পরিণামে রোমান্টিক তথা বিদ্রোহী কবি!

তাঁর সাহিত্য সম্ভারে নানাভাবে পুষ্পরাজি-বৃক্ষরাজি এবং পাখির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তাঁর প্রতিটি কবিতা থেকে যেন নানা ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসে। ‘বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি’, অথবা ‘সাত ভাই চম্পা জাগোরে, কেন বোন পারুল ডাকোরে’ নজরুলের এরকম অসংখ্য গান প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান নিয়ে রচিত হয়েছে। ‘শাল-পিয়ালের বনে’ গীতিনাট্যের গানে ঝিঙে ফুল নিয়ে কবি বলেছেন, ‘হলুদ বরণ ঝিঙে ফুলের কাছে, দেখনা কেমন দুটি ফিঙে নাচে’। নজরুলের স্ত্রী নার্গিস তার কবিতায় কখনও প্রিয়তমা, কখনও ফুল হিসেবে এসেছে। নজরুল গেয়েছেন, ‘বুলবুলি নীরব নার্গিস-বনে, ঝরা বন-গোলাপের বিলাপ শোনে’। নার্গিসকে লেখা এক চিঠিতে নজরুল লিখেছেন, ‘তুমি ভুলে যেওনা আমি কবি, আমি আঘাত করলেও ফুল দিয়ে আঘাত করি’।
তার কবিতা-গানে নানাভাবে ফুলের প্রসঙ্গ এসেছে-
‘কে নিবি ফুল, কে নিবি ফুল,
টগর যূথী বেলি মালতী চাঁপা গোলাপ বকুল,
নার্গিস ইরানী গুল
…এ ফুল ঝামেলা, চামেলী পারুল’।
এই গানটিতে মোট এগারটি ফুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সাঁওতাল জাতির সাঁওতালি একটি জনপ্রিয় গানে ফুলগুলো চয়ন করা হয়েছে সুন্দরভাবে-
‘হলুদ গাঁদার ফুল রাঙা পলাশ ফুল,
এনে দে এনে দে নইলে বাঁধবো না বাঁধবো না চুল।
কিনে দে হাট থেকে, এনে দে মাঠ থেকে
বাবলা ফুল আমের মুকুল।’
ফুল কিন্তু নিজে কিছু বলে না, সে তার সৌন্দর্যের মাধ্যমে আমাদের মোহিত করে। নজরুল তার লেখনীতে তুলে এনেছেন আমাদের চারপাশের সব চেনা ফুল। যেসব ফুলের সঙ্গে আমাদের প্রায় প্রতিদিনই দেখা হয়। ‘ফাল্গুনী’ কবিতার মাঝেও সজিনার ফুলকে উপস্থাপন করেছেন এভাবে- ‘ডগমগ তরুপুরী, পথে পথে ফুল ঝরি, সজিনা ফুলে’। এভাবে নজরুল ফুলের দক্ষ ব্যবহারে পাঠককে মুগ্ধ করতে পেরেছেন।
একটি ছড়ার অংশবিশেষে দেখা যায় নজরুলের রূপসী বাংলার প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা।
‘ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল!
সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল
ঝিঙে ফুল।’ (ছড়া, ঝিঙে ফুল)
কাজী নজরুলের সাহিত্য ও সঙ্গীতে যেসব ফুলের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; কামিনি, বেলী, সোনালু, বনদেবী, চৈতালি-চাঁপা, গিরিমল্লিকা, কুন্দ, কাশ, দোলনচাঁপা, ফণীমনসা, রাঙা-জবা, শিউলি, সজনে, পদ্ম, শাপলা, শতদল, বাঁশ, সরিষা, কমল, গোলাপ, আম মুকুল, চন্দ্রমল্লিকা, মঞ্জরী, মালতী, ঢোলকলমী, পারিজাত, পারুল, ধুতুরা, সন্ধ্যামালতী, সন্ধ্যামণি, সোঁদাল, রঙন, সূর্যমুখী, শিরীষ, গাঁদা, কদম, মাধবী, মহুয়া, কেয়া বা কেতকী, বকুল, দোপাটি, কনকচাঁপা, শিরীন, চন্দ্রহার, বল্লরী, নাগকেশর, ঝিঙে, অতসী, নয়নতারা, অপরাজিতা, ঝুমকো লতা, অর্জুন, নার্গিস, লালা, রজনীগন্ধ্যা, জামরুল, মহুল, ডালিম, পলাশ, শিমুল, পিয়াল, টগর, হাসনাহেনা, জুঁই, চাঁপা, চামিলি, মল্লিকা, মোতিয়া, ভুঁই, লোধ, মৌরি, ডুমুর ও কুসুম ইত্যাদি এমন অসংখ্য ফুলের নাম এসেছে। বোধ হয় বিশ্বের আর কোনো কবি সাহিত্যিক তাদের রচনায় এতো ফুলের ব্যবহার করতে পারেন নি।

অগ্নি-বীণা, দোলন-চাঁপা কাব্যগ্রন্থে নজরুল ইসলাম প্রায় একই সময়ে রচনা করেন। ‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যগ্রন্থে নজরুল যেখানে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুগের অগ্নিঝরা দিনগুলো কবিতায় গেঁথেছেন, এঁকেছেন। সেখানে ‘দোলন-চাঁপা কাব্যগ্রন্থে কবি ত্রঁকেছেন প্রেম ও প্রকৃতির শাশ্বত বাণী। ‘দোলন চাঁপা’ কাব্যগ্রন্থে নজরুলের সেই প্রকাশ বাঙময় হয়ে উঠেছে।
ধরণী দিয়েছে তার
গাঢ় বেদনার
রাঙা মাটিরাঙ্গা ধূসর আঁচলখানি
দিগন্তের কোলে কোলে টানি
পাখি উড়ে যায় যেন কোন মেঘ-লোক হ’তে
সন্ধ্যা-দীপ-জ্বালা গৃহ-পানে ঘর-ডাকা পথে।
নজরুল ইসলাম তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন। মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন সামাজিক সীমাবদ্ধতা থেকে। তিনি ভেঙে ফেলতে চেয়েছিলেন তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার অচলায়তন। নজরুলের এসব বিদ্রোহের অন্তরালে প্রবাহিত ছিল প্রকৃতি প্রেম এবং মানব প্রেমের উপাখ্যান। একজন রোমান্টিক কবির মানস বিকাশ-প্রকাশ যখন বাধাগ্রস্ত হয়, তখন তিনি হয়ে উঠেন বিদ্রোহী সত্তার কবি। নজরুল ইসলাম মূলত প্রেম প্রকৃতির কবি, পরিণামে রোমান্টিক তথা বিদ্রোহী কবি। নজরুল মানসে ইংরেজ রোমান্টিক কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রকৃতি সৌন্দর্য ও আধ্যাত্মবোধ লক্ষ্য করা যায়।
‘দোলন-চাঁপা’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশকালে নজরুল ছিলেন ভারতবর্ষের ঔপনিবেশিক একটি কারাগারে। তখন কবি-বন্ধু শ্রী পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় এই গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছিলেন, বাংলার যুবক আবার স্বাধীনচিত্ত ভরে বাংলার চির শ্যামল চির অমলিন মাতৃমূর্তি উন্মাদ আনন্দে বক্ষে টেনে নেবে, সেই শুভ আরতি লগ্নে। বন্ধুর এই উদ্ধৃতির মধ্যে নজরুল মানসের প্রেম প্রকৃতি ও বিদ্র্রোহী চেতনা স্বরূপে নিহিত রয়েছে। চির শ্যামল বাংলা মায়ের রূপে আকুলতা এবং কবি তার দেশমাতৃকার জন্য বন্দিনী রূপে ক্ষুব্ধ এক বিদ্রোহ সত্তা। নজরুলের রচনাতেই ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বাতন্ত্র ভূ-খণ্ডের প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য প্রথম লক্ষ্য করি আমরা।
নমঃ নমঃ নমঃ বাঙলাদেশ মম
চির-মনোরম চির-মধুর
হরিত অঞ্চল হেমন্তে দুলায়ে
ফেরে সে মাঠে মাঠে শিশির ভেজা পায়ে,
অথবা;
একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী
ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবণী।
রূপসী বাংলার প্রকৃতি ছিল ইতিহাস ও সময় চেতনার ভেতর দিয়ে বয়ে চলা এক পল্লী-জননী। তবে নজরুলে প্রকৃতি সমকালীন জীবন্ত ও নৈসর্গিক; স্পর্শযোগ্য এবং দৃশ্যময়।

প্রকৃতির রূপ পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের মনেরও পরিবর্তন ঘটে। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান এবং ঋতু স্বাতন্ত্র্যভাবে মানবীয় রূপ ধারণ করে। নজরুলের প্রকৃতি ও নারীকে আলাদা করে বোঝা যায় না। বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারির মতো প্রেম ও বৃক্ষ প্রেমের কবিতা বাংলা কবিতায় বিরল। তার বৃক্ষ কখনো হয়ে ওঠে নারী-বৃক্ষ। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে এ দেশের কবিরা নায়িকার রূপ এবং মানসিক অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন। নজরুল ইসলামও তার কবিতাতে বিভিন্ন ঋতুতে প্রকৃতি ও তাঁর প্রেমিকার অবস্থা বর্ণনা করেছেন।
(কবিতা: পউষ, দোলন-চাঁপা)
পউষ এলো গো!
পউষ এলো অশ্রু-পাথর হিম-পারাবার পারায়ে।
ঐ যে এলো গো-
কুজ্ঝটিকার ঘোম্টা-পরা দিগন্তরে দাঁড়ায়ে।
সে এলো আর পাতায় পাতায় হায়
বিদায়-ব্যথা হায় গো কেঁদে যায়,
অস্ত-বধূ (আ-হা) মলিন চোখে চায়।
আলাদা আলাদাভাবে প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ক কবিতা রচনার ক্ষেত্রে নজরুল ইসলাম। যেমন সার্থকতা অর্জন করেছেন। তেমনি প্রেম ও প্রকৃতিকে পারস্পরিক গুণ আরোপ করে কবিতার উৎকর্ষ সাধন করেছেন।
ফুটবে আবার দোলন-চাঁপা চৈতি রাতের চাঁদনী
আকাশ-ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাঁদনী।
‘চৈতী হাওয়া’ কবিতায় কবি তার হৃদয়ের বিরহ বেদনাকে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে এক অপূর্ব ভাষায় বর্ণনা দিয়েছেন।
শূন্য ছিল নিতল দীঘির শীতল কালো জল
কেন তুমি ফুটলে সেথা ব্যথায় নীলোৎপল?
(চৈতি হাওয়া: ছায়ানট)
নজরুলের হৃদয়-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে মিশেছিল আবহমান বাংলার প্রকৃতি। প্রকৃতির প্রতীক দিয়েই তিনি তার নিজের এবং মানব মনের চিরন্তন রূপ দিয়েছেন। মানুষ প্রকৃতির সন্তান, প্রকৃতির অসীম মমতায় গড়ে উঠেছে মানুষের জীবন। মানুষের সুখ-দুঃখ হাসি কান্না বিরহ বেদনার সুর আবহমানকালের সময় তরঙ্গ অতিক্রম করে প্রকৃতির শরীরে প্রবাহিত হচ্ছে। পৃথিবীতে সৃষ্টির প্রথম প্রভাতে মানবসন্তান যখন চোখ মেলে তখন থেকে প্রকৃতি তার নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠে। প্রকৃতির মমত্বে যত্নে মানব শিশু বেড়ে উঠে। প্রকৃতি রুদ্র হলে মানুষের টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই মানুষ আপন সত্তার মতো প্রকৃতিকে জেনেছে, দেখেছে, পরখ করেছে। আর কবি-সাহিত্যিকগণ প্রকৃতিকে করে তুলেছেন মানুষের জন্য মানবীয় অনুভূতিপ্রবণ এক মানবীয় সত্তা।
নজরুলের প্রেম ও প্রকৃতির কবিতার আলাদা পরিচয় বের করা কষ্টকর। নজরুল কাব্যের মূল প্রবণতা মূলত প্রেম, প্রকৃতি ও সৌন্দর্যবোধ। কেবল একটি বা দুটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর এই প্রকৃতিপ্রেম পরিচয় পর্ব সম্পূর্ণ করা যাবে না। যেমন তিনি প্রেম ও প্রকৃতিকে একই সঙ্গে অঙ্কন করেছেন, তেমনি তিনি শুধু নারীর প্রেম নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা। রচনা করেছেন ‘দেলনচাপা’, ‘ছায়ানট’, ‘পুবের হাওয়া’, ঝিঙেফুল’, ‘সিন্ধু-হিন্দোল’, ‘চক্রবাক’, ‘সন্ধ্যা’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। এসবের অধিকাংশ কবিতা প্রেম প্রকৃতি নিয়ে রচিত হয়েছে। আবার প্রেম ও প্রকৃতিবিষয়ক অমূল্য গান রয়েছে তাঁর। সুতরাং কেবল বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, প্রকৃতির কবি বললে নজরুলের পরিচয় সম্পূর্ণ হয় না। নজরুল যেমন বিদ্রোহী তেমনি প্রেম ও প্রকৃতির কবিও। ১৯৭৬ সালের এইদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হসপিতাল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় র্মযাদায় দাফন করা হয়। আজ ১২ই ভাদ্র কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। এইদিনে প্রেম ও প্রকৃতির কবির প্রতি রইল অশেষ দোয়া এবং হাজারো লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
মাসুদুর রহমান 



















