ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে অংশীজনের সঙ্গে এটা প্রথমবারের মতো মতবিনিময় হচ্ছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিরাজমান পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগ নিল ইসি।
নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত আছেন।
আগামী নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আইটি সাপোর্ডেট পোস্টাল ভোটিং হচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী আইন বিধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি এ সংলাপে উঠে আসবে।
রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথা রয়েছে। ভোটের দিনের অন্তত দুই মাস আগে তফসিল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি। সব ধরনের প্রস্তুতি অগ্রগতি তুলে ধরে ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ অনুযায়ী, অংশীজনের সঙ্গে এ সংলাপ এক থেকে দেড় মাস চলবে।
আজ সংলাপের প্রথম দিনে সকালে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং বিকালে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নেবে।
সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সবার প্রত্যশা। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নেও নিরাপদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান। ইসি সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বদ্ধপরিকর।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন বিধি সময়ের সাথে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে এবং হচ্ছে। নির্বাচন পরিচালনায় রয়েছে প্রশিক্ষিত জনবল। তারপরও জাতীয় নির্বাচনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ যথাযথভাবে সম্পাদনে দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পযবেক্ষক, নারী নেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সবার মতামত, পরামর্শ সহযোগিতা প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে সবার সুচিন্তিত মতামত, পরামর্শ (প্রয়োজনে লিখিতভাবেও দেওয়া যাবে) নিতে এ মত বিনিময় সভা হচ্ছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধির যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সুশীল সমাজের অন্তত ৩০ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, সিপিডি সম্মাণীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচায, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পিপিআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুল আলম, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকত আল মাহুদ হাসানউজ্জামান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেসা তাহমিদা বেগম, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমেনা মহসিন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরায় কায়সার, মানবাধিকারকর্মী রানি ইয়ান ইয়ান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান সাংবাদিক কামাল আহমেদ, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচায অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, গবেষখ মহিউদ্দিন আহমেদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সাবেক সচিব একেএম আব্দুল আউয়াল মজুমদার, ঢাবি অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হাসান খান, লকবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন জচৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান।