সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাকিস্তানকে ধ্বংস করে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত Logo দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় জলবায়ু সহনশীল আবাসন তৈরিতে সহায়তার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Logo এবার অনির্বাণকে নিয়ে মুখ খুললেন রুদ্রনীল Logo ঢাকায় প্রথম সরকারি গ্রিন বিল্ডিং হবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন ভবন:  পরিবেশ উপদেষ্টা Logo বিশ্ব নদী দিবসে দেশীয় গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিবেদন, দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি Logo অমর একুশে বইমেলার তারিখ নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা Logo যেসব অভ্যাসের কারনে আপনি পিছিয়ে যাচ্ছেন Logo সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু Logo এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান Logo ভারত কী পারবে ফাইনালে পাকিস্তানকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে?

আজ নায়ক রাজ্জাকের ৮ম প্রয়াণ দিবস

আজ নায়ক রাজ্জাকের ৮ম প্রয়াণ দিবস

জীবনের ৭৫ বছরের মধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় নায়করাজ রাজ্জাক উৎসর্গ করেছিলেন সিনেমাকে। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য। ঢালিউডের নায়করাজ রাজ্জাক নেই, তবু তার উপস্থিতি রয়ে গেছে এক দীর্ঘ ছায়ার মতো। জীবনের ৭৫ বছরের মধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সিনেমাকে।

আজ এই মহান অভিনেতার প্রয়াণ দিবস। ২০১৭ সালের আজকের দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। এরই মধ্যে কেটে গেছে রাজ্জাকহীন ঢালিউডের আট বছর।

সাংগঠনিকভাবে বিশেষ কোনো আয়োজন না থাকলেও পারিবারিকভাবে দিনটি পালন করা হয়।

নায়করাজ রাজ্জাকের পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি, কলকাতার নাকতলা এলাকায়। অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে বম্বেতে গেলেও সফল হননি। পরে কলকাতায় ফিরে মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেন। কলকাতার দাঙ্গার সময় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন, ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ।

তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। বাণিজ্যিক ছবি থেকে গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সমান সফল। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—‘বেহুলা’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’।

অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও ছিলেন দক্ষ। পরিচালনা করেছেন মোট ১৬টি চলচ্চিত্র।

তার অর্জনে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, স্বাধীনতা পদক (২০১৫) লাভ করেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন পাঁচ বার। পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও। তবে পুরস্কারের বাইরেও তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা।

প্রয়াণের আট বছর পরও ঢাকাই সিনেমায় তার শূন্যতা স্পষ্ট। নায়করাজ রাজ্জাক রয়ে গেছেন বাংলার মানুষের হৃদয়ে চিরকালীন নায়ক হয়ে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানকে ধ্বংস করে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত

আজ নায়ক রাজ্জাকের ৮ম প্রয়াণ দিবস

আপডেট সময় ১২:৪২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

জীবনের ৭৫ বছরের মধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় নায়করাজ রাজ্জাক উৎসর্গ করেছিলেন সিনেমাকে। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পুরো ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য। ঢালিউডের নায়করাজ রাজ্জাক নেই, তবু তার উপস্থিতি রয়ে গেছে এক দীর্ঘ ছায়ার মতো। জীবনের ৭৫ বছরের মধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় তিনি উৎসর্গ করেছিলেন সিনেমাকে।

আজ এই মহান অভিনেতার প্রয়াণ দিবস। ২০১৭ সালের আজকের দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। এরই মধ্যে কেটে গেছে রাজ্জাকহীন ঢালিউডের আট বছর।

সাংগঠনিকভাবে বিশেষ কোনো আয়োজন না থাকলেও পারিবারিকভাবে দিনটি পালন করা হয়।

নায়করাজ রাজ্জাকের পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি, কলকাতার নাকতলা এলাকায়। অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে বম্বেতে গেলেও সফল হননি। পরে কলকাতায় ফিরে মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেন। কলকাতার দাঙ্গার সময় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন, ১৯৬৬ সালে ‘১৩ নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ।

তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক। বাণিজ্যিক ছবি থেকে গল্পনির্ভর চলচ্চিত্র—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সমান সফল। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—‘বেহুলা’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’।

অভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণেও ছিলেন দক্ষ। পরিচালনা করেছেন মোট ১৬টি চলচ্চিত্র।

তার অর্জনে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, স্বাধীনতা পদক (২০১৫) লাভ করেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন পাঁচ বার। পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও। তবে পুরস্কারের বাইরেও তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা।

প্রয়াণের আট বছর পরও ঢাকাই সিনেমায় তার শূন্যতা স্পষ্ট। নায়করাজ রাজ্জাক রয়ে গেছেন বাংলার মানুষের হৃদয়ে চিরকালীন নায়ক হয়ে।