দূষণবিরোধী অভিযানে প্রায় ২০ কোটি টাকা জরিমানা, ৪৬২ ইটভাটা বন্ধ

দূষণবিরোধী অভিযানে প্রায় ২০ কোটি টাকা জরিমানা, ৪৬২ ইটভাটা বন্ধ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৯ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এই সময়ে ৫৯৮টি অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা করা হয়। জরিমানা হিসেবে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩শত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া, ৩০৫টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৫৭টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬০টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।

সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে আরও জানানো হয়:

“অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দ দূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা ও খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এদিকে, ৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল, মগবাজার, আদাবর, আফতাবনগর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এতে ১১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং নির্মাণ সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিনে নারায়ণগঞ্জে কঠিন বর্জ্য বিধিমালা ২০২১ অনুসারে রেডিমিক্স কারখানার বিরুদ্ধে ১টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঝিনাইদহ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও শেরপুর জেলায় ২০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়।

এই অভিযানে ১৯টি মামলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২২টি ইটভাটার কিলন ভেঙে, পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়। ৩টি ইটভাটা বন্ধের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

Shuvo

চবি’র কলোনি থেকে ৯ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  

দূষণবিরোধী অভিযানে প্রায় ২০ কোটি টাকা জরিমানা, ৪৬২ ইটভাটা বন্ধ

আপডেট সময় ০৭:২৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ৯ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। এই সময়ে ৫৯৮টি অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা করা হয়। জরিমানা হিসেবে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩শত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া, ৩০৫টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৫৭টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ৬০টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়।

সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে আরও জানানো হয়:

“অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দ দূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা ও খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এদিকে, ৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল, মগবাজার, আদাবর, আফতাবনগর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় ৪টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এতে ১১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয় এবং নির্মাণ সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই দিনে নারায়ণগঞ্জে কঠিন বর্জ্য বিধিমালা ২০২১ অনুসারে রেডিমিক্স কারখানার বিরুদ্ধে ১টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঝিনাইদহ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও শেরপুর জেলায় ২০টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়।

এই অভিযানে ১৯টি মামলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২২টি ইটভাটার কিলন ভেঙে, পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়। ৩টি ইটভাটা বন্ধের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলবে।”